নিজস্ব প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় কুমারখালিতে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করেছে। ওই গৃহবধূর নাম মনিরা খাতুন (২১)।
শনিবার (৩ জুলাই) সকালে কুমারখালি রেল স্টেশনের অদূরে মালবাহী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। নিহত গৃহবধূ উপজেলার সদকী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের সিদ্দিক মন্ডলের মেয়ে।
নিহত মনিরা খাতুনের বাবা সিদ্দিক মণ্ডল জানান, ৩ বছর পূর্বে বাটিকামারা তরুণ মোড়ের মনির হোসেনের ছেলে জনির সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মাদকাসক্ত জামাই তার মেয়েকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। গত ২৮ জুন নির্যাতন সইতে না পেরে মনিরা হারপিক খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। সে সময় কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় শনিবার সকালে সবার অগোচরে হাসপাতালের অদূরে স্টেশনের নিকটবর্তী স্থানে ট্রেনে নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আকুল উদ্দিন বলেন, মনিরা নামে এক নারী কুমারখালি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হারপিক খেয়ে অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি হয়েছিলেন। হঠাৎ করে কাউকে কিছু না বলে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে আমরা জানতে পারি তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে কুমারখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
সাননিউজ/জেআই