নিজস্ব প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে দুইটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (২ জুলাই) দুপুর ২টায় জেলা ডিবির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) গাজীপুরের হোতাপাড়ার মনিপুর বাজার থেকে দুই নারীসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর আ. হালিমের ছেলে মো. খোরশেদ আলম (৩৬), নেত্রকোনার কলমাকান্দার মো. সুরুজ আলীর ছেলে বকুল মিয়া (২৫) ও জীবন রহমানের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৬), ময়মনসিংহের নান্দাইলের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. শেফালী (৩০)।
এ বিষয়ে জেলার ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘গত ১২ এপ্রিল জেলার গৌরীপুরের কলতাপাড়া গ্রামের শাহিনুর ইসলাম প্রতিদিনের মতো অটোরিকশা নিয়ে বের হন। তবে তিনি ওই রাতে বাড়িতে ফিরেননি। পরদিন গৌরীপুর থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে তার পরিবার।’
এ ঘটনার চারদিন পর ১৬ এপ্রিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্ট থেকে তার পরিবার জানতে পারে, অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পরে পরিবার মর্গে গিয়ে মরদেহ শনাক্ত করেন।
পরে এ ঘটনায় ১৯ এপ্রিল গৌরীপুর থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার পর তদন্তে নামে ডিবি। পরে মমেক হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়। এরপর গাজীপুরের হোতাপাড়ার মনিপুর বাজার থেকে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন যে, প্রথমে তারা অটোরিকশা রিজার্ভ করতেন। পরে পথিমধ্যে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে চালককে অজ্ঞান করে ওই চক্রের দুই সদস্য অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যেতেন। আর অপর দুজন নারী সদস্য চালককে অজ্ঞাত পরিচয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে চলে যেতেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ চক্রটি আরও স্বীকার করে যে, গত ২৬ জুন নান্দাইলে একই উপায়ে সাইদুল ইসলাম নামের এক চালককে চেতনানাশক খাইয়ে অটোরিকশা ছিনতাই করে তারা। ওই চালককে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেন ওই দুই নারী। পরে সাইদুল ইসলাম সুস্থ হয়ে নান্দাইল মামলা করেন।’
সাননিউজ/এসএ