নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩০ জুন) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই ) সকাল ৮টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে চারজনের করোনা পজিটিভ বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের প্রধান ডা. মানস কুমার মন্ডল।
তিনি বলেন, বুধবার (৩০ জুন) বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল। তবে রাত ৮টার পর থেকে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। যশোর থেকে অক্সিজেনের কোম্পানির গাড়ি আসতে দেরি করে। এই সময়ের মধ্যে আইসিইউতে তিনজন রোগী মারা যান।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন ও উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধান থাকা ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওয়ার্ডের মধ্যে অক্সিজেনের ব্যবহার কম থাকে। যেখানে সিলিন্ডারের অক্সিজেনও দেওয়া হয়। সেকারণে ওয়ার্ডে মারা যাওয়া রোগীরা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছে এটি বলা যাবে না। যারা আইসিইউ ও ওয়ার্ডে মারা গেছেন তাদের সকলের অবস্থা আগে থেকেই খারাপ ছিল।
বুধবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালে মারা যাওয়া রোগীরা হলেন- কলারোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের সুফুরা বেগম (৬০), সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা এলাকার খায়রুননেছা (৪০), কুকরালী এলাকার নাজমা বেগম (৫০) পলাশপোল এলাকার আনছার আলী (৭৫), কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা গ্রামের আকরাম হোসেন (৬৬), শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর গ্রামের আশরাফ হোসেন (৪৭), দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের তুহিন (৪৫), আশাশুনি উপজেলার রবিউল ইসলাম (৪৮) ও পাটকেলঘাটা থানার বড়বিলা
গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪০)।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আরও মারা গেছেন আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের আব্দুল হামিদ (৭৫), যশোরের শার্শা উপজেলার বাঘারপাড়া এলাকার ইদ্রিস আলী (৬২), তালা উপজেলার সেনেরগাতি গ্রামের রহিমা বেগম (৬০), পলাশপোল এলাকার শেখ কাদিরুল (৭৫) ও সদর উপজেলার ভাড়ুখালি এলাকার কওসার আলী (৫২)।
সান নিউজ/এনএম