নিজস্ব প্রতিনিধি, সিলেট: টানা বৃষ্টি আর ঢলে বাড়তে শুরু করেছে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা আর কুশিয়ারা পানিও বাড়তে শুরু করেছে। ঢলের কারণে ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়ে পড়েছে সিলেটের গোয়ানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহগ কয়েকটি এলাকার নিম্নাঞ্চল। এসব এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) পর্যন্ত সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর পানি ৫৬ সেন্টিমিটার এবং গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপদসীমার ৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর যাদুকাটা নদীর পানি বাড়ার ফলে তাহিরপুর উপজেলার বেশ কিছু সড়ক তলিয়ে গেছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন এভাবে বৃষ্টিপাত হবে। তবে এই বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক। টানা বৃষ্টিপাত আরও আগে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটি অনেক দেরিতে হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, আগামী তিন দিন এইরকম টানা বৃষ্টি হবে। সিলেটে দিনে ও রাতে সমানতালে বৃষ্টি হচ্ছে। এটি সিলেটের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত।
এদিকে উজানের ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জৈন্তাপুরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব উপজেলার বেশি কিছু এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
তথ্যানুযায়ী, ভারতের চেরাপুঞ্জি স্টেশনে ২২১ মিলিমিটার, শিলংয়ে ৪২ মিলিমিটার এবং আইযল স্টেশনে ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এদিকে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এতে করে আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদী সুনামগঞ্জ ও তিস্তা নদী ডালিয়ে পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া সেল) শামমা লাবিবা অর্ণব বলেন, বন্যা হলে ত্রাণ বিতরণের প্রস্তুতি আছে। সিলেট জেলার অভ্যন্তরে সব বাঁধও পরীক্ষা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুজ্জামান সরকার, সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত এবং উজানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টির কারণে নদীগুলোর পানি বাড়ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় সুরমার পানি আরও বাড়তে পারে।
সাননিউজ/ জেআই