নিজস্ব প্রতিনিধি, ফরিদপুর : তালিমে ঘুমানোয় ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই শিক্ষার্থীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (৩০ জুন) ভোরে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের সুতারকান্দা দারুস সালাম ইসলামীয়া মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হচ্ছে, উপজেলার জিয়াকুলী গ্রামের বাদল মোল্যার ছেলে নিজাম (১০) ও জলফত জমাদ্দারের ছেলে আশিক (১১)। দুজনই ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা যায়, বুধবার মাদরাসায় ফজরের নামাজের পর শিক্ষার্থীদের নিয়ে তালিম চলছিলো। এসময় হেফজ বিভাগের ছাত্র নিজাম ও আশিক বসে ঘুমাচ্ছিলেন। এটি দেখতে পেয়ে মাদরাসার শিক্ষক হাফেজ রকিবুল ইসলাম ওই দুই ছাত্রকে দাঁড় করান। পরে তাদের একে-অপরের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে তাদের মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে শুরু করে।
পরে পাশ্ববর্তী পোড়াদিয়া বাজারে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে ওই দুই ছাত্রের মাথায় সেলাই দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই শিক্ষক।
আহত ছাত্র নিজামের বাবা বাদল মোল্যা অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলে হেফজ বিভাগে পড়ে। নিজাম ফজরের নামাজ পড়ে মাদরাসায় বসে তালিম শুনছিল। এসময় আশিক নামের আরেকটি ছেলে ও সে ঘুমাচ্ছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদরাসা শিক্ষক তাদের একে-অপরের মাথায় আঘাত করেন। এতে মাথা ফেটে যায় তাদের। আমার ছেলের মাথায় চারটি সেলাই করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে মাদরাসার মোহতামিম আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি মাদরাসায় ছিলাম না। এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসা কমিটির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেতী প্রু বলেন, ‘দুই শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সাননিউজ/এমএইচ