নিজস্ব প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের ঢল নেমেছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর লকডাউন শুরুর আগেই সবাই পৌঁছাতে যান বাড়ি। মানুষের চাপে তিল ধারণের ঠাঁই নেই ফেরিতে। সকাল থেকে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট থাকা সত্ত্বেও হাজার হাজার মানুষ ঘাটে আসে পদ্মা পার হওয়ার জন্য। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট এবং ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রী পার হচ্ছে। ফেরি আসার সাথে সাথে যাত্রীরা জরুরী যানবাহন উঠার আগেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সারাদিন ঘাট এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় ছোট ছোট যানবাহনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ও হেটে যাত্রীরা ফেরি ঘাটে আসছে। মানুষ গাদাগাদি করে করোনার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ফেরিতে উঠছে। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব কোনটাই মানছেনা যাত্রীরা। আগামী ১ জুলাই থেকে কঠোর লক ডাউনের ঘোষণার কারণে মানুষ বাড়ি ফিরছে বলে যাত্রীরা জানায়। যাত্রীর চাপে শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারমুখী ফেরিগুলোতে পণ্যবাহী ও জরুরী যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে কয়েকশ পণ্যবাহী যান ঘাটে পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
এই নৌ-রুটে চলাচলকারী ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। দক্ষিণাঞ্চলগামী মানুষের চাপ বেশি থাকলেও রাজধানী ঢাকামুখী মানুষের চাপ ছিল মঙ্গলবার খুবই কম। যাত্রী ছাউনি থাকায় খোলা আকাশের নীচে রোদ ও বৃষ্টির মধ্যে দীর্ঘ সময় মানুষের অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে মানুষের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোয়াচ্ছে।
বিআইডিব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম (মেরিন) আহাম্মদ আলী জানান, এ ঘাটের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। যান ও যাত্রী দ্রুত পার করা হচ্ছে। কয়েকশ যানবাহন পার অপেক্ষা রয়েছে। দ্রুত পার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
মাওয়া নৌ-পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, লকডাউনের মধ্যে মানুষ বিভিন্নভাবে মানুষ ঘাটে আসছে। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষ্যে এবং সুশৃঙ্খল ভাবে নদী পার হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সাননিউজ/ জেআই