নিজস্ব প্রতিনিধি, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের সদর উপজেলায় বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় প্রেমিকাকে হত্যা করে প্রেমিক বিধান চন্দ্র বর্মণ। হত্যার পর লাশ একদিন ঘরে রেখে পরে পাটক্ষেতে ফেলে দেয় বিধান ও তার সহযোগী সুকুমার চন্দ্র বর্মন।
সোমবার (২৮ জুন) বিকালে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় বিধান চন্দ্র বর্মন ও সুকুমার চন্দ্র বর্মণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২৪ জুন রতিপুর বসুনিয়াটারী এলাকায় পাটক্ষেত থেকে জুলেখা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেন সদর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জুলেখা বেগমের প্রথম স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হলে পার্শ্ববর্তী জেলা কুড়িগ্রামে তার ২য় বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি জানতে পারে তার ২য় স্বামীর সে ৬ষ্ঠ স্ত্রী। পরে জুলেখা বেগম মায়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এ সময় পার্শ্ববর্তী রতিপুর মণ্ডল পাড়া এলাকার দীনেশ চন্দ্র বর্মণের ছেলে বিধান চন্দ্র বর্মণের (২৬) সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের পর প্রেম হয়।
বিধানের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় গত ২১ জুন রাতে জুলেখা বেগম বিধান চন্দ্র বর্মণের বাড়িতে যায় এবং রাত্রি যাপন করেন। পরের দিনও তিনি একই কাজ করেন। রাত্রি যাপন শেষে ভোরে বিধানকে বিয়ের চাপ দেয়। বিধান বিয়ে করতে রাজি না হলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিধান জুলেখাকে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে।
এরপর ২৩ জুন রাতে বিধান তার কর্মচারী সুকুমার চন্দ্র বর্মণকে বাড়িতে ডেকে এনে তার সহযোগিতায় জুলেখা বেগমের লাশ পার্শ্ববর্তী পাটক্ষেতে লুকিয়ে রাখে।
২৪ জুন স্থানীয় লোকজন ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে জুলেখা বেগমের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর থেকে আমরা তদন্ত শুরু করি। সন্দেহজনক ভাবে আমরা জুলেখার প্রেমিক ও তার কর্মচারী সুকুমার চন্দ্রকে গ্রেফতার করলে ঘটনার ৪৮ ঘটনার মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করতে সক্ষম হই।
সান নিউজ/এসএ