নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’- এই স্লোগানে সারাদেশের ন্যায় ঠাকুরগাঁও জেলাতেও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হলেও অনেক আশ্রয়ণের নির্মাণ এখনো শেষ হয়নি। জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ৩৩টি খাস জমিতে দেখা গেছে এমন দৃশ্য। ফলে অনেকেই ঠাঁই হয়নি স্বপ্নের ঘরে।
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের শিলপাঠি আশ্রয়ণ। ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে এখানকার ৭৩টি ঘর ও ২ শতক করে জমি তুলে দেওয়া হয় ওই এলাকার ৭৩ দুস্থ ও গৃহহীনদের মাঝে। অথচ এ আশ্রয়ণটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। ঘরের উপরে লাল সবুজের দৃষ্টিনন্দন ঢেউটিন সাটানো হলেও অনেক ঘরের দেওয়ালের পলেস্তারার কাজ শেষ হয়নি। ঘরের মেঝেতে ঢুকানো হচ্ছে মাটি। রাজমিস্ত্রিরা কাজ করে চলেছেন । রঙের কাজ এখনো শেষ হয়নি। লাগানো হয়নি বৈদ্যুতিক সংযোগ।
অন্যদিকে সমতল ভূমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি স্থাপন করায় সামান্য বৃষ্টিতে এখানে পানি লেগে আছে। প্রবেশের রাস্তায় দুর্বিষহ অবস্থা। শ্রমিক ও দায়িত্বশীলরা জানালেন কমপক্ষে আরও ২০-২৫ দিন লাগতে পারে ।
এই প্রকল্পের ন্যায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের মাহাতপাড়া আশ্রয়ণে সাটানো হচ্ছে টিন। শতকরা ৮০ ভাগ কাজ এখনো বাকি। এ অবস্থায় নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ার আগেই ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ উপজেরার ৮০০ ঘরের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। এসব ঘরের প্রতিটির জন্য নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা।
প্রতিটি ঘরে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি করে বারান্দা, রান্না ঘর ও বাথরুম, বিদ্যুৎ সংযোগসহ নানা সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়াও সুবিধাভোগী প্রতিটি পরিবারকে ২ শতক করে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়।
শ্রমিকরা জানান, আবহাওয়ার সমস্যার কারণে কাজ শেষ করতে আরো কমপক্ষে ২০/২৫দিন সময় লাগতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান সমর কুমার চ্যাটার্জি নুপুর বলেন, আমার ইউনিয়নে ১৩২টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে একটি ঘরে বসবাস করতে যা যা দরকার সবকিছুর ব্যবস্থা করা হবে। নলকূপ, বিদ্যুৎ ও বন্ধু চুলার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন জানান,বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ২য় ধাপে ৮’00 ঘর নির্মাণ হয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে ৩৪টি স্থানে কাজ চলছে। কাজের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য শতভাগ পূরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। ঘর নির্মাণে মান বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে। কাজের মান ভাল করতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা , উপজেলা পলিসধের কর্মচারি ও ইউপি মেম্বার ও চেযারম্যানরগণ তদারকি করে আসছেন। তিনি সময়মতো কাজ শেষ করতে না পারার কথা স্বীকার করে বলেন,বৃষ্টির কারণে এবং স্থানীয়ভাবে ইটের ঘাটতির কারণে অনেক স্থানে সময় মতো নির্মাণ কাজ শেষ করা যায়নি।
সান নিউজ/ আরএস