নিজস্ব প্রতিনিধি,পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক প্রেমিকার বাবা মেনে না নেয়ায় বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিস বৈঠকে বসেন চেয়ারম্যান। এ সময়ে প্রেমিকাকে চেয়ারম্যানের পছন্দ হওয়ায় অভিভাবকের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। অভিভাবক সম্মতি দিলে ১৫ বছরের ওই কিশোরী প্রেমিকাকে বিয়ে করেন উপজেলার কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মো. শাহীন হাওলাদার।
এটি তার দ্বিতীয় বিয়ে। দুই সন্তানের জনক। তিনি উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। এ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় বারের জন্য চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েই ওই কিশোরীকে দ্বিতীয় বিয়ে করায় বিষয়টি নিয়ে চলছে আলোচনা। এ সময় চেয়ারম্যানের প্রথম স্ত্রী পটুয়াখালী অবস্থান করছিলেন বলে জানা গেছে।
এদিকে প্রেমিকাকে না পেয়ে ঘুমের ঔষধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় প্রেমিক রমজান। পরে চৌকিদার মো. ফিরোজ তাকে উদ্ধার করে শুক্রবার (২৫ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। রমজান ওই ইউনিয়নের নারায়নপাশা গ্রামের মৃত সুলতান হাওলাদারের ছেলে।
শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, অসুস্থ প্রেমিক রমজান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দোতালায় বারান্দায় একটি বেডে কাত হয়ে বসে আছেন।
এ বিষয়ে শাহিন হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটিকে দেখে আমার পছন্দ হওয়ায় তাকে বিয়ে করেছি।
সান নিউজ/ আরএস