নিজস্ব প্রতিনিধি, পাবনা : পাবনার ঈশ্বরদীতে চাপা ইসলাম (২৮) নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে সাহাপুরে ইউনিয়নের আওতাপাড়ার পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত প্রতিবন্ধী যুবকের বাড়ি পাবনা জেলার চাটমোহরে।
এ ঘটনায় ছামেলা খাতুন নামে এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তার বাড়িও চাটমোহরে। তিনি ওই এলাকার মানিক সরদারের পুত্রবধূ ও জাহিদুল সরদারের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত যুবককে ভ্যানে করে ঈশ্বরদী উপজেলার গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করতে দেখা যেত। গ্রামে পরিচিত বলে চাপা প্রায়ই সাহাপুর ইউনিয়নের আওতাপাড়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের ছামেলা খাতুনের শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত করতো। তার সাথে নিরঞ্জন নামের চাটমোহর এলাকায় আরও এক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক থাকতো।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, হয়তো টাকা পয়সার কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় হয়তো চাপাকে পরিকল্পিত ভাবে বাড়িতে ডেকে হত্যা করেছে ছামেলা খাতুন ও তার পরিবার। গভীর রাতে লাশটি গুম করার পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে গেলে স্থানীয় কুলি ছাইদার হোসেন ও ওই ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার রহিদুল্লাহকে সাথে নিয়ে মানিক সরদারের বাড়িতে গেলে তাদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। পরে তারা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীর রক্তে ভেজা ছিল। আটককৃত ছামেলা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তবে শীঘ্রই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
সান নিউজ/এসএ