নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: ঘর পেলেন শীলা গুহ। তিনি একজন ভিক্ষুক। এই আনন্দ ধরে রাখতে পারছেন না শীলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে ঘর দিয়েছেন এই আনন্দে তিনি উদ্বেল। ঘর পেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরেক দাবি করেছেন। সাতকড়ার তরকারি দিয়ে খাওয়াতে চান প্রধানমন্ত্রীকে। ভিডিও কন্সফারেন্সে শীলা গুহ প্রধানমন্ত্রীকে এ নিমন্ত্রণ করেন।
শীলা গুহের বাড়ি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে। তিনি একজন বীরাঙ্গনা। সারাদেশের ৫৩ হাজারের বেশি গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিতে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বরাবারের মতোই অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শেষে স্থানীয় উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সে সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ধরণের কথোপোকথন করেন বীরাঙ্গনা শীলা গুহ।
বক্তব্যের শুরুতেই বিনামূল্যের ঘর পেয়ে খুশি শীলা গুহ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আমি ঘর পেয়ে খুবই খুশি। আগে ছিলাম রাস্তার ভিখারি এখন হলাম লাখপতি। শুধু বঙ্গবন্ধুর কন্যার জন্যই আমি এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। তাই ভগবান তাকে দীর্ঘজীবী করুক। আর কামনা করি বঙ্গবন্ধুর আত্মা যেনো শান্তি পায়।
শীলা জানান, প্রতিদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মঙ্গল কামনা করে সন্ধ্যায় সৃষ্টিকর্তার কাছে বাতি ধরাই আমি । আমি এখনও আপনার জন্য প্রতিদিন দু’টাকা দামের একটি করে বাতি জ্বালাই। কারণ আমার বোন যেন সুখী থাকে। বোনের যেনো কোনো অমঙ্গল না আসে। আমার বোন যাতে হাজার বছর বাঁচে সে কামনা করি।
‘আমি মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভাবতে পারিনি যে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেষ বয়সে আমাকে দেখে রাখবেন। তাই আমি ভীষণ খুশি।
হঠাৎ বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে দাবি করে বসেন শীলা। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আমার একটি দাবি। আমাকে আপনি যে ঘর দিয়েছেন সে ঘরে একটি বারের জন্য আসবেন। আমি আপনাকে সাতকড়া দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়াবো।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বোন, আমি যদি সুযোগ পাই নিশ্চয় আসার চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রীর এ আশ্বাস শুনে চোখের পানি যেন থামছিল না শীলার। তার কান্না দেখে প্রধানমন্ত্রীর গলাও ধরে আসে।
কাঁপা কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের যে অবদান, আপনাদের যে আত্মত্যাগ এর মধ্য দিয়েই তো আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। কাজেই আত্মত্যাগ কিন্তু কখনো বৃথা যায় না। হয়তো অনেক বছর আমরা আসতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
সান নিউজ/ আরএস