নিজস্ব প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ: করোনাকালেও থেমে নেই কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের মানুষের দান-সদকা। আর এবার ঐতিহাসিক মসজিদটির আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছে। এতে পাওয়া গেছে ১২ বস্তা টাকা। যা টাকার অংকে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা। এছাড়া টাকা ছাড়াও দান হিসেবে পাওয়া গেছে রুপা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র।
শনিবার (১৯ জুন) দিনভর গণনা শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জের এনডিসি সৌরভ হাসান। গণনার সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মসজিদ কমিটিসহ ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে দানবাক্সের সিন্দুক খোলা হয়। এরপর পাগলা মসজিদ ইসলামী কমপ্লেক্সের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা টাকাগুলো গণনা করছেন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি সর্বশেষ সিন্দুক খোলা হয়েছিল। তখন সর্বোচ্চ দুই কোটি ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার ৫৪৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
সাধারণত তিন মাস পরপর পাগলা মসজিদের দানবাক্স সিন্দুক খোলা হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দান সিন্দুক খোলার সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে। এবার ৪ মাস ২৬ দিন পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছে।
সব ধর্মের মানুষের কাছে পবিত্র হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ। মানুষের বিশ্বাস যেকোনো নিয়ত করে এ মসজিদে দান করলে মনের ইচ্ছে পূরণ হয়। এ মসজিদের দানবাক্সে দানের পরিমাণ বাড়ছে বিস্ময়করভাবে। মসজিদের বড় বড় আটটি লোহার সিন্দুকে নগদ টাকা, স্বর্ণসহ মূল্যবান জিনিস জমা পড়ে। এছাড়া গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্রের সাথে গাছের ফল, গরুর দুধসহ মূল্যবান জিনিসপত্র দান করেন মানুষ।
সান নিউজ/ আরএস