সারাদেশ

বড়লেখায় ৪ বিদ্যালয় ভবন নির্মাণে অনিয়ম 

নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়গুলো হলো বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নারীশিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়, চান্দ্র গ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়।

শুক্রবার দুপুরে বিদ্যালগুলো পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। সে সময় অনিয়ম পেয়ে ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ সময় বড়লেখা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাওলাদার আজিজুল ইসলাম ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ছোটলেখা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, নারী শিক্ষা একাডেমি মাধ্যমকি বিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবনে ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, বড়লেখা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ও চান্দ্রগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণে ২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।

বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়গুলোর একাডেমিক ভবনের দরজায় অপরিণত কাঠ লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নিম্নমানের সামগ্রী ও বাথরুমে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ফিটিংস। র‌্যাম্পের নীট ফিনিসিং উঠে গেছে। ভবনের ছাদের প্লাস্টার উঠে গেছে ও জানালায় নিম্নমানের পুডিং ব্যবহার করা হয়েছে। মাটিযুক্ত বালু দিয়ে প্লাস্টার কাজ করতে দেখা গেছে। নিম্নমানের ইট ব্যবহার এছাড়া বালু ও সিমেন্টের মিশ্রণ কোনো কোনো জায়গায় সঠিকভাবে হয়নি বলেও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নারীশিক্ষা একাডেমি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের ঠিকাদার রুসমত আলম বলেন, ভবনের কাজ এখনো চলমান আছে। রং, সোলার ও বিদ্যুতের কাজ বাকি রয়েছে। ত্রুটি থাকলে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।

ছোটলিখা উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের ঠিকাদার প্রদীপ কুমার দেব বলেন, ভবনের মূলকাজ শেষ পর্যায়ে। সকল কাজ প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্টদের দেখিয়ে করা হয়েছে। কাজে এরকম হওয়ার কথা না।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ সহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন বলেন, যেসব ত্রুটি পাওয়া গেছে এগুলো সংশোধনের জন্য চার প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারদের পূর্বেই বলা হয়েছে। তারা সংশোধন করে দেবেন বলেছেন। কিছু সংশোধন কার্যক্রম চলছে। ভবনের কাজ চলমান আছে। কাজ যথাযথ না হলে বিল দেওয়া হবে না।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী বলেন, চারটি ভবনের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও বেশকিছু ত্রুটি পাওয়া গেছে। একটি ভবনে তাৎক্ষণিক কাজ বন্ধ করা হয়েছে। অন্যগুলোতে নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণ করতে বলা হয়েছে। দরপত্রের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী প্রত্যেক ভবনের যাবতীয় কাজ যথাযথ না হলে ঠিকাদারদের বিল না দিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সান নিউজ/ আরএস

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

নলছিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে শুরু হয়েছে ভূট্টো স্মৃত...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছ...

ফের বাড়ল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা...

ফের হারলো সাকিবের দল

স্পোর্টস ডেস্ক : আবুধাবির টি-টেন টুর্নামেন্টে ফের হারের মুখ...

নোয়াখালীতে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর...

ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা