নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙামাটি: পাহাড়ের ঢালুতে বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষ করা হয়েছে রাঙামাটি জেলায়। ফলনও হয়েছে বাম্পার। তবে বাণিজ্যিক ভাবে পাহাড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে আম্রপালি ও রাঙ্গুই আম। ফলে এ জেলার আম্রপালি ও রাঙ্গুই আম যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
সদর উপজেলার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের রমেশ চাকমা ও প্রত্যন্ত দুর্গম বরকল উপজেলার সুবলং হাজাছড়ার আম চাষি রিপন চাকমা জানান, আম্রপালি ও রাঙ্গুই আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারা ইঞ্জিন বোট যোগে দুর্গম এলাকা থেকে শহরের সমতাঘাটে আম বিক্রি করতে এসেছেন। দু’জনে প্রায় ২শ’ মণের বেশি আম বিক্রি করতে এনেছেন। ভাল দামও পেয়েছেন। প্রতি কেজি আম প্রাইকারি ৩৫-৪০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা।
বনরুপা চৌমুহনী কাঁচা বাজার মুখে খুচরা আম বিক্রেতা সৈয়দ আলী জানান, বাজারে প্রচুর আম এসেছে। তবে এবারের আমে কোন প্রকার ফরমালিন মিশানো হয়নি। বাজারে আম্রপালি ও রাঙ্গুই আম পাওয়া যাচ্ছে, দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। আম্রপালি ও রাঙ্গুই আম প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা খুচরা বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য স্থানীয় আম ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপর দিকে রাঙামাটির আম প্রতিদিনই ট্রাকে ট্রাকে করে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের প্রাইকারি আম ব্যবসায়িরা বলেন, অন্যান্য বছর আমরা বাগানে গিয়ে আম কিনে আনতাম এবার করোনার জন্য তা হলো না। তবে আম বাগান কিনলে আরও কম দামে পাওয়া যেতো। তারপরও ফরমালিন মুক্ত বিধায় রাঙামাটির আমের চাহিদা অপরিসীম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃঞ্চ প্রসাদ মল্লিক জানান, এ বছর রাঙামাটি জেলায় মোট ৩৩৮২ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এবার প্রতি হেক্টর জমিতে ১১ মেট্রিক টন আম উৎপাদন করা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর আমের ফলন বেশ ভাল হয়েছে। আর আমে এ বছর পোকা নাই বললেই চলে এবং দামও ভালো পাচ্ছে চাষিরা। পাশাপাশি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ মাঠ পর্যায়ে সকল ধরনের লজিষ্টিক সাপোর্ট দিয়ে আসছে।
সান নিউজ/ আরএস