কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: প্রকাশ্যে স্ত্রী-সন্তান ও এক যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এএসআই সৌমেন রায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, কাস্টমস মোড়ে তিনতলা একটি ভবনের সামনে আসমা তার সন্তানকে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পাশে ছিলেন শাকিল নামে এক যুবক। সেখানে হঠাৎ উপস্থিত হন সৌমেন। তিনি প্রথমে আসমার মাথায় গুলি করেন, পরে পাশে থাকা শাকিলের মাথায় গুলি করেন। এ সময় ভয়ে দৌড় দেয় ৮ বছরের রবিন। তিনি তাকেও ধরে মাথায় গুলি করেন।
আশপাশের লোকেরা ধরতে এলে দৌড়ে তিনতলা ভবনে ঢুকে পড়েন সৌমেন। এরপর লোকেরা জড়ো হয়ে ওই ভবন লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসমাকে মৃত ঘোষণা করেন। অস্ত্রোপচারকক্ষে গুলিবিদ্ধ শাকিল ও শিশু রবিনের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমান এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কুষ্টিয়া পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এএসআই সৌমেন খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত। ধারণা করছি, তাকে দেওয়া পিস্তল দিয়েই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। ওই পিস্তল জব্দ করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- আসমা খাতুন ও তার ৬ বছর বয়সী ছেলে রবিন এবং শাকিল নামে এক যুবক। আসমার বাড়ি কুমারখালীর নাতুরিয়া গ্রামে। তবে সন্তানকে নিয়ে তিনি কুষ্টিয়া শহরে বাবার বাড়িতে থাকতেন। শাকিল বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। রবিন আসমার আগের সংসারের সন্তান।