নিজস্ব প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: রংপুর বিভাগের আট জেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা প্রশাসক হয়েছেন গাইবান্ধার মো. আব্দুল মতিন। জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কারের বিভিন্ন সূচকে সর্বোচ্চ মান অজর্ন করায় তিনি 'জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার-২০২১' এ মনোনীত হন।
গত ৩১ মে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল ওয়াহাব স্বাক্ষরিত এক স্মারকে এই তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষক পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান আব্দুল মতিন কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার গজারিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। অত্যন্ত মেধাবী এই কৃতী সন্তান ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে “অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স” বিষয়ে ১ম শ্রেণিতে স্নাতক ও স্নাতকত্তোর ডিগ্রি লাভ করেন। বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২১তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা চাকরিজীবনের শুরুতে শিক্ষানবিশ হিসেবে ফেনি জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন।
পরবর্তীতে ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ফেনী, খাগড়াছড়ি ও চাঁদপুরে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও দ্রুত বিচার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে দীর্ঘ পাঁচ (০৫) বছর গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদে নিয়োজিত ছিলেন। সেসময় তিনি গোপালগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত হন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে পরবর্তীতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করে ভূমি ব্যবস্থাপনায় তার অসাধারণ কর্মতৎপরতার জন্য চট্রগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিসেবে পুরস্কৃত হন।
ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ম্যাজিস্ট্রেসির উপর বিশেষ দক্ষতা ও জ্ঞানের অধিকারী এই কর্মকর্তা পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নেত্রকোনা এবং উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার পদে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, মানিকগঞ্জে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ২১তম ব্যাচের মেধাবী এই কর্মকর্তা তাঁর কর্মতৎপরতা, দক্ষতা, সততা ও পারদর্শীতার স্বীকৃতি স্বরূপ গাইবান্ধা জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে পদায়িত হন। দুই বছরের অধিক সময় ধরে সদা হাস্যজ্বল এই ডিসি গাইবান্ধার সর্বস্তরের মানুষের মনের মনিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন। সফলতার সাথে দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতি স্বরূপ জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন তার চাকরি জীবনে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ায় প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
এই অনন্য কৃতিত্বের জন্য জাগরণের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল মতিনকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হলে তিনি বলেন, এ অনুভুতি আসলেই প্রকাশ করবার মতো নয়। আপনাদেরকেও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আমার পাশে থেকে সকল কাজে সহযোগিতা করার জন্য। আমার এ কৃতিত্বের জন্য আমি আমার সকল সহকর্মীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ।
সান নিউজ/আরআই