আল-মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : অবসান ঘটেছে নিয়োগ জটিলতার। সম্পন্ন হয়েছে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এতে করে পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় গতি ফিরছে। সন্তোষ ফিরেছে খাগড়াছড়িবাসীর মনে।
জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির তিন জেলার গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি বিভাগ পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরিত হয় জেলা পরিষদগুলোতে। ২০১৬ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক পদে সর্বশেষ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নানা জটিলতায় আটকে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া। দফায় দফায় লিখিত ও মৌখিক পরিক্ষা হলেও চুড়ান্ত ফল প্রকাশ আটকে থাকে।
দীর্ঘ চার বছর পর গত ফেব্রুয়ারির গোপনীয় প্রতিবেদনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এ সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। তিনি তা অনুমোদন দেন। একই সঙ্গে নিয়োগে সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রেখে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিত নিশ্চিত করে পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর অধীনে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিবিড় তত্ত্বাবধান যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই স্বচল হয় জেলার নিয়োগ প্রক্রিয়া।
গত ৮ জুন দীর্ঘ প্রতিক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়। প্রকাশিত ফলে ২১২ জন প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ চুড়ান্ত হয়। এতে প্রশংসায় ভাসছে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ।
স্থানীয়রা বলছেন, নিয়োগ জটিলতার অবসানের ফলে খাগড়াছড়ির “শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন দ্বার উম্মোচন” হতে যাচ্ছে। বেকাররা পেতে যাচ্ছে তাদের প্রত্যাশার চাকরি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষক সংকট অবসানের মাধ্যমে শিক্ষার প্রসার ঘটবে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, এই নিয়োগ চুড়ান্ত হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমের প্রসার ও অগ্রগতি আরও শক্তিশালী হবে। যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে জনবল প্রয়োজন। তাই পর্যাপ্ত জনবল থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম আরও ভালো হবে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শিক্ষা খাতের সংকট দূর করবে।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, নানা জটিলতাসহ সংকট কাটিয়ে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সফল হয়েছি। পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল এবং মান উন্নয়নে আমাদের চেষ্টা সব সময় অব্যাহত থাকবে। দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ ও সর্বশেষ করোনায় শিক্ষা ব্যবস্থার অচলবস্থার অবসান হতে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সান নিউজ/এমএইচ