নিজস্ব প্রতিনিধি, পটুয়াখালী : সমুদ্র উপকূলে ৬৫ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মাছ শিকারের দায়ে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে ১৬ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। শুক্রবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা চর বিজয় থেকে তাদের আটক করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে চারটি মাছ ধরা ট্রলার, এক মণ মাছ ও এক লাখ মিটার ঘন ফাঁসের জাল জব্দ করা হয়। পরে রাত ১১টার দিকে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা ট্রলার মালিক আসাদুলের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, মোশাররফের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা, আল আমীনের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও হানিফের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়া আটকৃত জেলেদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। একই সঙ্গে ট্রলার ও জাল চলমান নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত জব্দ রাখা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ৬৫ দিনের অবরোধ উপেক্ষা করে সমুদ্রে শত শত ট্রলারে মাছ শিকার করছে। খোলা রয়েছে আলীপুর-মহিপুরসহ উপকুলের মৎস্য আড়তগুলো। বরফ কলে বরফ উৎপাদন চলছে অহরহ। এ নিয়ে খোদ জেলেদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। জেলেদের আহরিত মাছ পিকআপ ভ্যান ও পরিবহন যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হলেও প্রশাসন নিরব রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলে জানান, আড়তদারদের মধ্যাস্ততায় সমুদ্র উপকুলের অনেক জেলেরা ৫-১০ হাজার টাকা চুক্তিতে সমুদ্রে মাছ শিকার করছে। তাদের কাছে ধার্যকৃত টাকা দিতে আড়তদাররা চাপ সৃষ্টি করছে।
জেলেরা আরও জানান, যে সকল নৌকা বা ট্রলার টাকা দিবে সমুদ্রে শুধুমাত্র তারাই মাছ শিকার করতে পারবেন। টাকা না দিয়ে সমুদ্রে নামলে তাদেরকে আটক করছে নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ড।
সান নিউজ/এমএইচ