চট্টগ্রামের পাহাড় রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পরিবেশবাদী ও অধিকার কর্মীরা। শুক্রবার (১০ জুন) সন্ধ্যায় বন্দর নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়ে এক সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়।
চট্টগ্রাম ও রাঙামাটিতে বিভিন্ন সময়ে পাহাড় ধসে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত এ সমাবেশে অধ্যাপক মো. ইদ্রিস আলী বলেন, প্রকৃতি বারবার সতর্ক করছে, কিন্তু আমরা সকর্ত হচ্ছি না। এ অঞ্চলে পাহাড় শেষ করে দিয়ে বিন্না ঘাস লাগানো হয়। রক্ষাকারীরা ১৮টা পাহাড় কেটে নির্বাক থাকেন। তারা এ পরিবেশের অংশ নয়। আমলার মামলা দিয়ে পাহাড় রক্ষা, নদী রক্ষা হবে না। প্রধানমন্ত্রীকেই ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়, নদী দেখতে হবে। তা না হলে চট্টগ্রামকে রক্ষা করা যাবে না। আপনি দ্রুত পদক্ষেপ নিন।
তিনি বলেন, আমাদের পাহাড় অপরাজনীতি ও অপেশাদার আমলাগিরির শিকার। ধসের পর গঠিত কমিটি ২১তম সভা করেছে। তাদের নির্লিপ্ততায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রামের সাতটি স্থানে মাটিচাপায় ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। নিয়ম ভেঙে পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসের কারণে বর্ষা মৌসুমে পার্বত্য এলাকায় প্রায়ই পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পাহাড়ের পাদদেশে অসহায় মানুষ বাধ্য হয়ে বসবাস করে উল্লেখ করে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার প্রশ্ন রাখেন, যারা এসব বাসস্থান তৈরি করে তারা কী একেবারেই ধরাছোঁয়ার বাইরে?
সমাবেশে এই প্রকৌশলী ১১ জুনকে পাহাড় রক্ষা দিবস ঘোষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।
পরিবেশ সংগঠন পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান বলেন, যারা পাহাড় দখল করেছেন তাদের তালিকা পাহাড় রক্ষা কমিটি করেছিল। কারো বিরুদ্ধে আজও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।