নিজস্ব প্রতিনিধি, সাভার : ঢাকার সাভারে জোরপূর্বক আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করানো ও মানব পাচারের অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা এক ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (১১ জুন) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব কথা জানায় র্যাব-৪। এর আগে বৃহস্পতিবার উপজেলার আমিনবাজার বড়দেশী গ্রামে অভিযান চালিয়ে ওই নারী পাচারকারী দলের সদস্যকে গ্রেফতার করে। তবে এসময় পালিয়ে যায় চক্রের অন্যতম মূল হোতা জাকির হোসেন।
গ্রেফতার মোছাঃ রেহানা বেগম (২২) লক্ষিপুর সদরের জকসিন গ্রামের মোঃ আবু তাহেরের ছেলে এবং চক্রের অন্যতম মূল হোতা পলাতক মোঃ জাকির হোসেনের (৩৫) স্ত্রী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে শুক্রবার মামলা করেন।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, কিছু মানবপাচারকারী অল্পবয়সী কিশোরীদেরকে বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরির লোভ দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে পাচার করে নিয়ে আসতো। পরে তাদের পতিতালয়ে বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করতো। এ সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুই মাসের অন্তঃস্বত্তা এক তরুণী ও পাচারকারী চক্রের সক্রিয় এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গত চার মাস ধরে ভয় দেখিয়ে এসব তরুণীদের একাধিক ব্যাক্তির সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতো। এভাবেই উদ্ধারকৃত তরুণী সন্তান সম্ভবা হয়ে যায়।
এ বিষয়ে র্যাব-৪ এর মেজর মোহাম্মদ কামরুল সোহেল জানান, গত জানুয়ারী মাসে উচ্চ বেতনে বিদেশে চাকরি দেয়ার কথা বলে চট্টগ্রাম থেকে ওই তরুণীকে ঢাকায় নিয়ে আসে। প্রথমে তাকে মারধর করে বাসার ভিতরে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করাতো। পরে আমিন বাজারের গ্রীন আবাসিক হোটেলে নিয়ে পতিতাবৃত্তি করাতো। তাদের ঘর থেকে একটি ডায়েরী জব্দ করা হয়েছে। সেখানে অনেক কাস্টমারের লিস্ট পাওয়া গেছে। মূলত পলাতক জাকির এই চক্রের হোতা। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।
সান নিউজ/এমএইচ