রেজাউল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে বিভিন্ন এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে। ভাঙনের মুখে হাজারও বসতবাড়ি ও ফসলি জমি হূমকিতে। নানা শঙ্কায় দিন পার করছে নদীর তীরবর্তী লোকজন।
বালুর বস্তা দিয়েও থামছে না তিস্তার ভাঙন। তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে চলতি মৌসুমের বিভিন্ন ধরনের ফসলসহ আবাদি জমি বিলিন হচ্ছে নদীগর্ভে। টানা ভাঙনে বেসামাল হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। এক বছরের ব্যবধানে হাজার হাজার বসতবাড়ি ও আবাদি জমি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা পলির কারণে তার গতিপথ হারিয়েছে। পরিণত হয়েছে একাধিক শাখা নদীতে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইসব শাখা নদীতে এখন তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে। উজান বোচাগাড়ি, পাঁচপীর খেয়াঘাট, খোদ্দা, লাঠশালা ও কাশিম বাজার খেয়াঘাটসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকায় বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
তিস্তার চরাঞ্চলে বাদাম, বেগুন, মরিচসহ নানাবিধ উঠতি ফসলের সমাহার দেখা দিয়েছে। কিন্তু সে ফসল নিয়ে চরম শঙ্কায় আছে কৃষকরা।
কাশিম বাজারের আমজাদ সরকার বলেন, অবিরাম বর্ষণ এবং উজানের ঢলে বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে ভাঙনের শঙ্কায় অসংখ্য পরিবার। তাদের আশ্রয়স্থল নেই বললে চলে।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদী ড্রেজিং এবং খনন করা ছাড়া ভাঙন রোধ সম্ভব নয়। ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চন্ডিপুর, তারাপুর, হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ভাঙন কবলিত হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
সান নিউজ/এমএইচ