নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনা জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এক সপ্তাহের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। শুক্রবার (১১ জুন) সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন।
বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে দোকান, শপিংলমল, রেস্তোরা ইত্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। জরুরি প্রযোজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাহিরে বের হতে পারবে না। অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ইজিবাইক চলবে । কাঁচাবাজার ও ঔষধের দোকান এই বিধিনিষেধ আওতামুক্ত থাকবে।
সভায় কেসিসি মেয়র বলেন, গত এক সপ্তাহ খুলনার কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করে সংক্রমণ প্রতিরোধে কোনো ভাল ফল পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে সমগ্র জেলায় বিধিনিষেধ আরোপ এবং তা বাস্তাবায়ন করতে না পারলে সংক্রমণের উর্দ্ধগতি ঠেকানো যাবে না। এ ব্যাপারে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশকে কঠোর ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটিপিসিআর ল্যারে প্রতিদিন ৫০০ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত সাত দিনে ২২৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তিন লাখ ৬২ হাজার ৫৪৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মাদ ইসমাঈল হোসেন ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, সাতক্ষীরার প্রভাব খুলনায় এসেছে। আম এবং বন্দরের মালামাল আনা নেয়ায় সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। এখানে সংক্রমণ ৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। যশোরে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সেখানেও লকডাউন চলছে। বাগেরহাটের মোংলায় লকডাউন চলছে।
বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা মেহেদী নেওয়াজ বলেন, খুলনা সদরে করোনা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায়। খালিশপুর ও সোনাডাঙ্গার পরিস্থিতি অনেক ভাল।
এদিকে পুলিশের তৎপরতার কারণে নিউমার্কেটের একটি গেটও খোলেনি। করোনা মোকাবিলায় যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে বলে কেএমপি প্রতিনিধি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ থেকে শুরু করে এইচডিইউ এমনকি সাধারণ শয্যা কোথাও ফাঁকা নেই। ১০০ শয্যার হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা ১৪৩ জন। খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত ১৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৫৭ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৬ জন শনাক্ত হয়েছে। যা নমুনা পরীক্ষার ৩৫ শতাংশ।
সান নিউজ/এমএইচ