নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে হৃদয় দাস (২০) নামের এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। পৌরসভার মধ্যপাড়ার পালপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হৃদয় দাস নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাকালপাড়া গ্রামের গৌর মন্দিরের এলাকায় মৃত সন্তোষ দাসের ছেলে।
সে জগৎবাজার শমর পালের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। প্রায় দীর্ঘদিন যাবত ওই দোকানে কাজ করতেন ও শমর পালের পালপাড়ার বাড়িতে থাকতেন।
পুলিশ জানায়, আজ যুবকের শোবার ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসা থেকে রশি দিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের পা বিছানায় হাটু পর্যন্ত লাগানো ছিলো এবং উলঙ্গ অবস্থায় ছিলো। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে আনা হয়।
নিহতের দাদা ও গৌর্কণ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার তশু দাস জানান, এটি কোন আত্মহত্যা হতে পারে না। হৃদয়কে মেরে ফেলা হয়েছে। কেউ ফাঁস লেগে বিছায় হাটু ভেঙ্গে থাকতে পারে না।
হৃদয়কে শমর পাল ও তার ভাই সঞ্চয় পালসহ তার ছেলে সৌরভ পাল হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন তশু দাস।
তিনি বলেন হৃদয় শমর পালের অবৈধ কিছু ব্যবসার সম্পর্কে হৃদয় জানতেন৷ এগুলো নিয়েই হৃদয়কে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি এই হত্যার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি হয়েছে। হৃদয় কি আত্মহত্যা করেছে! নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করে পরবর্তীতে জানানো হবে৷
সান নিউজ/ আরএস