নিজস্ব প্রতিনিধি, কুমিল্লা : কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ধসে পড়া হিমাগারের উদ্ধার কাজ শেষ করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনের দেয়াল ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে পাশের খামারের চাপা পড়া ৭১টি গরু। এর মধ্যে সাতটি মারা গেছে বলে জানান কর্মকর্তারা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় ৫০ বছরের পুরোনো ওই ভবনটি।
বুড়িচংয়ের ৭ নম্বর মোকাম ইউনিয়নের কাবিলা বাজারে মঙ্গলবার (৮ জুন) সকাল ৬টার দিকে ধসে পড়ে মোকাম কোল্ড স্টোরেজের একাংশ।
ভবনটির পাশের একটি বাড়িতে থাকেন মিজানুর রহমান ও ইউনুস মিয়া। তারা জানান, ভোর ৬টায় দিকে বিকট শব্দ শুনে বাইরে গিয়ে দেখেন, ওই পাঁচতলা ভবনের পেছনের দিকের অংশ ধসে পড়েছে। ওই অংশে ছিল একটি খামার।
সিয়াম ডেইরী ফার্ম নামের খামারটির মালিক ফরহাদ হোসেন। ওই কোল্ড স্টোরেজের মালিকের কাছ থেকে খামারের জন্য তিনি জায়গা ভাড়া নিয়েছেন। খবর পেয়ে এসে দেখেন ধসে পড়া অংশে আটকা পড়েছে তার অনেকগুলো গরু।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক শারফুল হাসান ভুঁইয়া বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সকাল ৭টায় ঘটনাস্থলে যাই। মোট পাঁচটি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালায়। ধসে পড়া ভবনের দেয়াল কেটে ৭১টি গরু উদ্ধার করি। যার মধ্যে সাতটি গরু ঘটনাস্থলে মারা যায়। আহত একটি গরুকে খামার মালিক জবাই করে ফেলেছেন।’
শারফুল জানান, সকাল ৭টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কোল্ড স্টোরেজের মালিক গোলাম সারোয়ার। তিনি বলেন, কী কারনে ভবনটি ধসে পড়ল তা জানেন না।
মোকাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুন্সি জানান, ভবনটি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কার। প্রকৌশলীরা ভবনটিকে অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন বলেই তিনি জানেন। তবুও ভবনের মালিক ভাড়া দিয়েছেন।
তবে এই অভিযোগ সত্য নয় জানিয়ে ভবন মালিক বলেন, সাত থেকে আট বছর আগের ভবন এটি।
তার দাবি, কোল্ড স্টোরেজে ২৮ হাজার ২শ ৭৪ বস্তা আলু রাখা ছিল। প্রতিটিতে ৬৫ কেজি করে আলু ছিল। সেসব নষ্ট হয়েছে।
ঠিক কতবছর আগের ভবন এটি, সেই তথ্য নিশ্চিত করা যায়নি।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলী আজম জানান, কী কারণে ভবনটি ধসে পড়ল ও কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হলো তা তদন্ত করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
সান নিউজ/এসএম