নিজস্ব প্রতিনিধি, সাভার : গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে শিশু রাজা মিয়াকে (৯) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে তার বাবা কালামকে ফোন দিয়ে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে সে রাতেই হত্যা করে শিশু রাজাকে।
এ ঘটনার দুই মাস পর ভাড়াটিয়া আরিফুল ইসলামকে (৩২) পাবনা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৬ জুন) ভোরে পাবনার সুজানগর সদর থানার তারাবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ।
মৃত রাজা সাভারের আশুলিয়ার বাড়িওয়ালা কালাম মাদবরের ছেলে। আর গ্রেফতার আরিফুল তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন। গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকেই রাজাকে অপহরণ করেছিলো আরিফুল ইসলাম। ২ মাস পর পুলিশি তদন্তে উঠে আসে এমন সব তথ্য।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে শিশু রাজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে তার বাবা কালামকে ফোন দিয়ে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এর পরপরই কালাম আশুলিয়া থানায় অভিযোগ নিয়ে যান। পরে জানা যায় তার বাড়ির চারতলার ফ্ল্যাটে আরিফুলের বেলকনিতে বস্তাবন্দি অবস্থায় রাজার মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, ‘ঘটনার দিনই হত্যার অভিযোগে আরিফুলের কথিত স্ত্রীকে আটক করা হয়। কিন্তু তখন থেকেই পলাতক ছিলেন আরিফুল। আরিফ ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসাভাড়া নিয়েছিলেন। এরপর শিশুটিকে হত্যা করে পালিয়ে যান তিনি’।
তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই মাস ধরে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছিলেন তিনি। কখনো নারায়ণগঞ্জ, কখনো গাজীপুর আবার মাওনা এলাকায় তার অবস্থান দেখায়। সবশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় পাবনার গ্রামের বাড়িতে আরিফুলের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে রোববার ভোরে অভিযান চালিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়’।
এছাড়া রোববার দুপুরে তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ সম্পৃক্ত আছে কি-না তা জানার জন্য আসামির রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানান তিনি।
সান নিউজ/আরএস