নিজস্ব প্রতিবেদক, গোপালগঞ্জঃ গোপালগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত তেলিভিটা গ্রামের ৭ জনের শরীরের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। এই কারণে শনিবার (০৫ জুন) আক্রান্ত এলাকায় নতুন করে আরও ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ জানান, তেলিভিটা গ্রামের ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৫০ জনের করোনা পজিটিভ আসে। এর মধ্য থেকে ১১ জনের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়। সেখান থেকে ৭ জনের নমুনায় ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। যা শতকরা হারে ৬৩.৬৩ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, করোনা সংক্রামণরোধে তেলিভিটা গ্রামের ৯ দিনের লকডাউন শেষে নতুন করে আরও ৭দিন লকডাউন বৃদ্ধি এবং পাশের গ্রাম কালীভিটা গ্রামে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের রোগী থাকায় সেখানে নতুন করে ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। এরা সার্বক্ষণিক প্রশাসনের নজরদারেতে থাকবেন এবং আক্রান্তদের দেখভালের জন্য শিপটিং ওয়েতে ওইসব এলাকায় ১০ জন ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গেলো ২৪ ঘণ্টায় গোপালগঞ্জে নতুন করে ১৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৪৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪০ জন।
জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানিয়েছেন, যেহেতু তেলিভিটা ও কালীভিটা গ্রামে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব মিলেছে। তাই ওই দুই গ্রামে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে কেউ বাইরে বা ভিতরে প্রবেশ করতে না পারেন। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে তাদের যাবতীয় প্রয়োজন প্রশাসন থেকে দেখভাল করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে তেলিভিটা গ্রামের বিভাষ কির্ত্তনীয়া করোনা উপসর্গ ঠান্ডা, কাশি ও জ্বর নিয়ে মারা যান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিলে স্বাস্থ্য বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে মৃত ব্যক্তির পরিবার ও লাশ দাফনে সংশ্লিষ্ট ২৫২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ৫০ জনের শরীরের করোনা পজিটিভ আসে। এই ৫০ জনের মধ্যে ৭ জনের শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়।
সান নিউজ/আরএস