চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় দিলরুবা আক্তারকে ১ মাসের সাজা দেন আদালত। কিন্তু সাজা পরোয়ানা যায় বাদী শিহাব উদ্দিনের ঠিকানায়। পুলিশ শিহাব উদ্দিনকে ধরতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারে।
বুধবার (২ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্র জানায়, নগরীর ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট এলাকার রূপালী ক্রেডিট কো অপারেটিভ লিমিটেডের প্রিন্সিপাল অফিসার শিহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১৯ সালে নগরীর আকবর শাহ এলাকার দিলরুবা আক্তারের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭২ টাকার চেক প্রত্যাখ্যানের অভিযোগে মামলা করেন। গত ৩১ মার্চ পঞ্চম যুগ্ম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এ মামলার আসামি দিলরুবাকে এক মাসের সাজা দেন। আসামি পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
সাজা পরোয়ানায় লেখা আছে, আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ এটি প্রস্তুত করেন। প্রসেস নম্বর ৪৮৮/২১। এতে আসামি দিলরুবার পরিবর্তে বাদী শিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে তিনি পরোয়ানাটি লেখেন। এটি বাদী শিহাবের দেওয়ানহাটের ঠিকানায় পাঠানো হয়। ডবলমুরিং থানায় যাওয়ার পর বিকেলে শিহাবকে ধরতে যায় পুলিশ।
শিহাব উদ্দিন বলেন, পুলিশ আমাকে ধরতে এলে অবাক হই। মামলার সব কাগজপত্র দেখাতে পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করা থেকে বিরত থাকেন।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, বাদীর কাছ থেকে যাবতীয় কাগজপত্র দেখার পর এ বিষয়ে জিডি করা হয়।
পঞ্চম যুগ্ম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফরিদ আহমেদ বলেন, বিষয়টি ভুল হয়ে গেছে। বাদীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা ঠিক করে দেব।
আসামির পরিবর্তে বাদীর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা থানায় পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন।