নিজস্ব প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ৪২ টন পপি বীজ জব্দ করেছে কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম। কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, আফিমসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক তৈরিতে পপি বীজ ব্যবহার করা হয়। যে কারণে পণ্যটি আমদানি নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার।
মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে এআইআর শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আজমিন ট্রেড সেন্টার সরিষা বীজ ঘোষণায় মালয়েশিয়া থেকে দুই কন্টেইনার পণ্য আমদানি করে। গত এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখ আমদানিকারকের মনোনীত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হটলাইন কার্গো ইন্টারন্যাশনাল পণ্য চালানটি খালাসের লক্ষ্যে ‘দ্য বিল অব এন্ট্রি নং-সি- ৬৫১৭৮০’ দাখিল করে। এসময় ঘোষিত পণ্য সরিষা বীজের শুল্ক বাবদ ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৭.৩৬ টাকা পরিশোধ করে। শুল্ক-কর পরিশোধ শেষে পণ্য চালানটি খালাস গ্রহণের কার্যক্রম শুরু করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খালাস প্রক্রিয়া স্থগিত করে কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম। এ সময় শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় আমদানিকারকের ঘোষিত ৫৪ টন সরিষা বীজের স্থলে ১২ টন সরিষা বীজ এবং ৪২ টন আমদানি নিষিদ্ধ পপি বীজ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, একই রকম লেখা ও একই রঙের বস্তায় কন্টেইনারের সামনের অংশে সরিষা বীজ ও পেছনের দিকে পপি বীজ পাওয়া যায়।
রেজাউল করিম বলেন, পপি বীজ সম্পর্কে অধিকতর নিশ্চিয়তার জন্য ঢাকায় পণ্যের নমুনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে পাঠানো নমুনাকে পপি বীজ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দেয় সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।
এআইআর শাখার কর্মকর্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ী ৪২ টন পপি বীজের বিক্রয় মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা হলেও সরিষা বীজের মূল্য বাবদ এলসি’র মাধ্যমে ২২ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি। পণ্যের অবশিষ্ট মূল্য অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করে পরিশোধ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
রেজাউল করিম বলেন, অসত্য ঘোষণায় নিষিদ্ধ পণ্য আমদানি করায় সংশ্লিষ্টদের আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এছাড়া মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে কাস্টম হাউসের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং ইউনিট।
সান নিউজ/এসএম