দালাল চক্র ভাসানচর থেকে নৌকায় তুলে ১০ রোহিঙ্গাকে সাগরের এদিক-সেদিক ঘুরায়। পরে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সমুদ্র উপকূলে নামিয়ে বলা হয় ‘মালয়েশিয়া এসে পৌঁছেছি’। দেশটি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি নেওয়া হয় ২০ হাজার টাকা।
দালাল চক্রের তিন সদস্য এবং ভাসানচর থেকে পালানো নারী-শিশুসহ ১০ রোহিঙ্গাকে আটকের পর এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
রোববার (৩০ মে) রাতে উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরৎ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা থেকে তাদের আটক করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন সোমবার (৩১ মে) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটকরা হলেন-জান্নাতুল নাঈমা, রেহানা আক্তার, নূর জাহান বেগম, নূর খাইয়াছ, আছিয়া বেগম, মনিয়া বেগম, মিনারা বেগম, জিসান, কহিনা আক্তার ও জেসমিন আক্তার।
আটক দালাল চক্রের সদস্যরা হলেন- নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বেলাল হোসেন, মো. জুয়েল ও সন্দ্বীপ উপজেলার দিদারুল আলম।
ওসি হেলাল উদ্দিন বলেন, নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেয়ার কথা বলে রোহিঙ্গাদের কাছে থেকে জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে নেন দালাল চক্রের সদস্যরা। এরপর নৌকায় তুলে সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে রোববার রাতে মিরসরাইয়ের চরশরৎ এলাকার সমুদ্র উপকূলে নামিয়ে দেন। বিষয়টি সেখানে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের নজরে আসে। পরে তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করেন তারা।