নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৯৮৪ সালের ৩০মে দিবাগত রাতে দুর্গম ভূষণছড়ায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয় সাড়ে ৪শ' বাঙালি ও আহত হয় ৫শ'র বেশি মানুষ। ৩৭ বছরেও রাঙামাটি ভূষণছড়া হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি নিহতের স্বজনরা। শুধু বাঙালি নয় সন্ত্রাসীদের হাতে প্রতিনিয়ত হত্যার শিকার হচ্ছে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃজনগোষ্ঠীর মানুষও।
রাঙামাটির বরকল উপজেলার দুর্গম ভূষণছড়ার এই জনপদের ঘুমন্ত বাসিন্দারা ভোরের সূর্যের অপেক্ষায়। মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে একটি জনপদকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে ফেলে সন্ত্রাসীরা।
চোখের সামনে পরিবারের ৬ সদস্যকে গুলি করা হত্যা করা হলেও ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ৯০ বছর বয়সী গুনাই বিবি। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট থানা মামলাও নেয়নি।
গুনাই বিবি বলেন 'শান্তি বাহিনী মারছে, শান্তি বাহিনী। আমি এর বিচার চাই বাজান।'
১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তিচুক্তির পর শান্তিবাহিনীর সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হলেও সশস্ত্র সংগঠনগুলোর দৌরাত্ম ও হত্যা বন্ধ হয়নি। জেএসএস, ইউপিডিএফ ও সংস্কারপন্থির নামে পাহাড়ী সশস্ত্র সংগঠনগুলোর কাছে জিম্মী প্রায় সবাই।
পার্বত্য অঞ্চল নাগরিক পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, 'পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের পর পাহাড়ে যে শান্তি আসার কতা ছিল সেটি আসেনি। কারণ যেসব অস্ত্রধারীদের সাথে সরকার চুক্তি করেছিল তারা আজ কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।'
অবৈধ অস্ত্রসহ নানা অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস ফেরা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
রাঙামাটির বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল রানা জানান, ইস্যুটি পাহাড়ি বাঙ্গালি কোন ইস্যুনা এটা হলো সন্ত্রাসী ইস্যু।
ওই ঘটনার পর বিক্ষুদ্ধ বাঙ্গালিরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত গ্রামে হামলা চালালে হতাহত হয় বেশ কয়েকজন। নির্বিচারি হত্যার খবর দেশের গণমাধ্যমে না আসলেও আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশ করা হয় ক্ষৃদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের উপর হামলার খবর।
সান নিউজ/এসএম