নিজস্ব প্রতিনিধি, রাজবাড়ী: ফেরিতে পদ্মা নদী পারাপারের জন্য রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে প্রায় সাড়ে ছয় কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে।
রোববার বিকালে ঝড়ে এক ঘণ্টা ফেরি বন্ধ থাকায় এ যানজট আরো বেড়েছে।
বিকেলে দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও বাইপাস সড়কে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং ঘাট থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দের রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান সারিবদ্ধভাবে থাকতে দেখা গেছে।
এই পরিস্থিতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদী পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। ফলে তীব্র গরম, খাওয়া-দাওয়া ও টয়লেট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
এছাড়া ট্রাকগুলোকে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে নদী পারের জন্য। ফলে সময় মতো মালামাল পরিবহন করতে না পারায় বিপাকে পড়ছে ট্রাকচালক ও মালিক পক্ষ। তাছাড়া মালামাল নিয়ে সড়কের খোলা আকাশের নিচে থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ট্রাক চালকরা। যেখানে নাই গোসল, টয়লেট ও খাবার সু-ব্যবস্থা। গাড়ি রেখে দূরে গিয়ে গোসল, টয়লেট ও খাবার সেরে আসতে হচ্ছে।
ট্রাকচালক কমির মিয়া বলেন, এক দিন হলো গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আটকে আছেন। এখান থেকে ঘাট ১৪ কিলোমিটার দূরে। কবে-কখন ফেরির নাগাল পাবেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। খোলা আকাশের নিচে রয়েছেন। এখানে খাবার হোটেল, পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভ্যানে করে খাবার বিক্রি করা হকার্সদের থেকে অতিরিক্ত মূল্যে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। এছাড়া সময় মতো মালামাল পরিবহন করা নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন।
একাধিক ঢাকামুখি বাস যাত্রী বলেন, ঘাট এলাকায় এসে তারা ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরির অপেক্ষায় বসে অাছেন। তীব্র গরমে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। এছাড়া টয়লেট ও খাবার সমস্যায় পড়ে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ফেরির নাগাল পেলে একটু শান্তি পেতেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফিরোজ শেখ জানান, লকডাউন শেষ হতে চলেছে। হয়তো সে কারণে ঢাকায় ফিরছে অনেকে। যে কারণে যানবাহনের বাড়তি চাপ পড়েছে দৌলতদিয়ায়। বর্তমানে এরুটে ছোট বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তের তিনটি ঘাট সচল রয়েছে। ফেরি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করলে দ্রুত চাপ কমে যাবে।
সান নিউজ/আরআই