নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে সরকারি হাসপাতালে কুকুর ঢুকে পড়ায় দুইজন চিকিৎসককে তলব করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান ২৭ মে ওই দুই চিকিৎসককে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে তলব করেন।
ঘটনার সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দারোয়ান হারিছ মিয়া ছিলেন না। তখন জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. ইখতিয়ার উদ্দিন।
এটি আমাদের অফিসের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে সাংবাদিকদের ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
প্রশ্ন উঠেছে দারোয়ানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে নোটিশ প্রদান করা নিয়ে।
তলবকৃত চিকিৎসকরা হলেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোশরাত ফারখান্দা ও মেডিকেল অফিসার ডা. ইখতিয়ার উদ্দিন।
জানা যায়, গত ২৬ মে সকালে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কিছু সংখ্যক কুকুর ঢুকে পড়ে। এসময় হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত দারোয়ান হারিজ মিয়া ছিল না। জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. ইখতিয়ার উদ্দিন। দুইটি কুকুর হাসপাতালের করিডোরে থাকা একটি সিটে বসে থাকার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
এ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান গত ২৭ মে বৃহস্পতিবার দুইজন চিকিৎসকে ৪৮ ঘন্টার সময় দিয়ে তাদের কৈফিয়ত তলব দাখিল করতে নোটিশ প্রদান করেন। দারোয়ানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে চিকিৎসকদের নোটিশ প্রদানের পর হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করে। বিষয়টি গোপন রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
এই বিষয়ে শনিবার রাতে অভিযুক্ত চিকিৎসক ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ওইদিন মেডিকেল অফিসার হিসেবে জরুরি বিভাগে আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলাম। জানতে পারি একটি কুকুর হাসপাতালের ঢুকে পড়ে। ওই দিন কুকুরটি হাসপাতালের একটি সিটে উঠে পড়ে। আমার কাজ চিকিৎসা দেওয়া, হাসপাতালের কুকুর তাড়ানো না । ২৯ মে ছিল নোটিশের জবাব দেওয়ার শেষ দিন, আমি ইতিমধ্যে তলবের জবাব প্রদান করেছি।
তলব করার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমরা উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।
হাসপাতালে কুকুর ঢুকার কারণে দারোয়ানের বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো? ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিভিল সার্জন ডা. একরাম উল্লাহকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, এই বিষয়টি কি আপনাদের জানার বিষয় ?
তিনি আরও বলেন, এটি আমাদের অফিসিয়াল অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি জেনে আপনাদের পরে জানাব।
সান নিউজ/ আরএস