নিজস্ব প্রতিবেদক : ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ বাংলাদেশে আঘাত হানবে না তবে প্রভাব ফেলবে এটা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই পূর্বাভাসই বাস্তব হলো। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেলেও উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস ও ঝড়োহাওয়ায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সরকারি হিসেবে, দেশের ২৭টি উপজেলার মানুষ ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ মানুষ। বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এত ক্ষতি হয়েছে বাড়িঘর, গাছগাছালি ও ফসলের। বরগুনা ও ভোলায় দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে উপকূলীয় ওড়িশা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবেলায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৮টি যুদ্ধজাহাজ, মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী জরুরি উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তিন স্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
সান নিউজ/বিএস