নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনাঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে নদ-নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের থেকে প্রায় দুই ফিট বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ উপচে ইতোমধ্যে কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অরক্ষিত ২৬টি বাঁধের কিছু কিছু জায়গার বাঁধ ভাঙন স্থানীয়ভাবে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব উপজেলার নদীবেষ্টিত সাতটি ইউনিয়নের প্রায় ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে দেলুটি ইউনিয়নের ১৩ কিলোমিটার বাঁধ, লতা ইউনিয়নের প্রায় ২ কিলোমিটার বাঁধ, সোলাদানা ইউনিয়নের ২৩ নম্বর পোল্ডারের পাটকেল পোতা, আমুড়কাটা স্লুইচ গেট, নুনিয়াপাড়া, বাসাখালী ও পতন, বেতবুনিয়া ও সোলাদানার আবাসন এলাকার আধা কিলোমিটার বাঁধ, বাইনতলা খেয়াঘাট থেকে সানা বাড়ি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার বাঁধ ও রাড়ণ্ডলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর পোল্ডারের মালোপাড়া ও ভড়ভুড়িয়ার গেট এলাকার ১ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এসব এলাকার মানুষের মধ্যে জলোচ্ছাস ও বাঁধ ভাঙ্গার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
কয়রা উপজেলার আংটিহারা, মঠবাড়ি লঞ্চঘাটের পশ্চিমপাশ ও একই এলাকার মোসলেম সরদারের বাড়ি সংলগ্ন ক্লোজার উপচে পানি প্রবেশ করেছে। অপরদিকে গোবরা ঘাটাখালী, কয়রা সদরের তহশীল অফিস সংলগ্ন বেড়িবাঁধ, দশহালিয়া, কাটকাটা, কাশিরহাটখোলা, দাকোপের নলিয়ান ও আন্ধারমানিক এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। জোয়ারের পানির প্রবল স্রোতে পাইকগাছার দেলুটির চকরি-বকরি প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে এবং রাড়ণ্ডলীর মালোপাড়ার বাঁধ উপচে এ দুই ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। কৃষি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামত করার চেষ্টা করছে।
সান নিউজ/ আরএস