নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী: প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে অন্তত ১১টি গ্রামের লোকালয়ে।
প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে গৃহপালিত পশুগুলোকে পাশের আশ্রয়কেন্দ্র ও উঁচু জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে প্লাবিত হয় গ্রামগুলো।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জোয়ার আসে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জোয়ার বাড়তে থাকে। মেঘনা নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ে। এতে তিন-চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে চরঈশ্বর ইউনিয়নের ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড। এছাড়াও অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের মদিনা গ্রাম, বান্দাখালী গ্রাম, মুন্সি গ্রাম, মোল্লা গ্রাম, আদর্শগ্রাম ও ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড।
নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. দিনাজ উদ্দিন জানান, স্বাভাবিকের চেয়ে তিন-চার ফুট উচ্চতায় জোয়ার হওয়ায় নিঝুমদ্বীপের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘরবন্দি ৫০ হাজার মানুষ। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। তবে গরু, মহিষসহ গৃহপালিত পশুগুলোকে উঁচু রাস্তা ও আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে কৃষি জমির ফসল।
হাতিয়া উপজেলা সিপিপি কর্মকর্তা বদিউজ্জামান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমার প্রভাব এক হয়ে যাওয়ায় জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতের জোয়ারে পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা ও মানুষকে নিরাপদ রাখতে হাতিয়ায় সিপিপির ১৭৭টি ইউনিট ও সরকারি ১৮২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সান নিউজ/আরআই