নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগুচ্ছে। উপকূলের দিকে যতই এগুচ্ছে ঝড়ের গতি ততই বাড়ছে। এর ফলে উপকলীয়ঞ্চলের নদ-নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে খুলনাঞ্চলে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। গতকাল ২৪ মে রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস বইছে। সময় যতো যাচ্ছে বাতাসের তীব্রতা ততোই বাড়ছে। নদীতে উত্তাল অবস্থা বিরাজ করছে।
উপকূলের উপজেলা কয়রা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ গুলো অরক্ষিত রয়েছে। এসব এলাকার বেড়িবাঁধগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় এবং নদ-নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব অঞ্চলের জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষগুলো।
জানা যায়, পশুর, শিবসা, কপোতাক্ষ, রূপসা ও সুন্দবনের আশপাশের নদ নদীতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দুই থেকে চার ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে উপকূলের কিছু কিছু জায়গায় জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
আবহওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মংলা বন্দর থেকে ৪৫৫ কিঃমিঃ দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি আরো ঘনীভূত ও উত্তর- উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ( ২৬ ) বুধবার দুপুর নাগাদ উত্তর- উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় ৬৪ কিঃমিঃ এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিঃমিঃ যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিঃ মিঃ পযর্ন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম কালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলা সমূহে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিঃ মিঃ বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, বঙ্গেপসাগরে থাকা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে খুলনায় থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় নদ নদীর জোয়ারের পানি২/৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে । মোংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থনীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়াও পূর্ণিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটে নদ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে।
সান নিউজ/আরএস