নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: এক সময় মেঘনা-তিতাস অববাহিকাসহ হাওরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে বাদামের চাষ হলেও নতুন শস্যের প্রতিযোগিতায় কমে যায় বাদামের আবাদ।
বাদামের আবাদ বৃদ্ধিতে প্রণোদনা ও প্রকল্পের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর, নবীনগর, সরাইল, নাসিরনগর এ ৪টি উপজেলার পাশাপাশি এবারই প্রথম বিজয়নগর উপজেলায়ও বাদামের আবাদ হয়েছে।
চলতি মওসুমে কৃষি বিভাগ ৮৫ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও জেলায় ১৪৫ হেক্টর জমিতে বাদামের আবাদ হয়েছে।
প্রণোদনার আওতায় চাষিদের প্রতিকানি জমির জন্য দেয়া হয়েছে ১০ কেজি বীজ ও ৩০ কেজি সার।
চাষিরা জানান, ধানের তুলনায় উৎপাদন খরচ কম ও ব্যাপক চাহিদা থাকায় চাষিরা বাদাম চাষে ঝুঁকছে। পাশাপাশি পচনশীল না হওয়ায় তারা তা সহজেই সংরক্ষণ করতে পারছে। এছাড়া বাড়তি কোন সেচেরও প্রয়োজন পড়ে না।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ভাল ফলনের আশা করছে বাদাম চাষিরা। ডিসেম্বরের ১ম সপ্তাহে বাদামের বীজ রোপন করা হয়। রোপণের ১৫০ দিন পরেই তারা ফলন ঘরে তুলতে পারে। এতে ২ ফসলি জমিগুলো ৩ ফসলি জমিতে রুপান্তরিত হওয়ায় বাদাম চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বাদাম প্রকার ভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
সান নিউজ/আরএস/আরআই