নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে আবাসিক হোটেল ও বাসা বাড়িতে মেলামেশা করার এক পর্যায়ে বেরসিক জনতা দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডা. জিল্লুর রহমানকে আটক করে।
এ নিয়ে দীর্ঘ ১৭/১৮ ঘণ্টা ধরে চলে রশি টানাটানি। অবশেষে চাকরি রক্ষার স্বার্থে কিশোরীকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন চিকিৎসক সুমন।
জানা যায়, দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক জিল্লুর রহমান সুমন জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বেগুনগাঁও গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে আফরোজা জান্নাতের (২০) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলসহ ভাড়া বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু ওই চিকিৎসক মেয়েটিকে বিয়ে করতে টালবাহানা করলে মেয়েটি তার পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনা প্রকাশ করে।
এদিকে রোববার রাতে ডা. জিল্লুর রহমান সুমন আফরোজাকে তাদের গ্রামের বাড়িতে পৌছে দিতে গেলে মেয়ের পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে আটক করে। আটকের পর চিকিৎসক স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটির সাথে প্রেমের সম্পর্কে কথা স্বীকার করেন।
এ নিয়ে স্থানীয়রা তার পরিবারকে জানালে দীর্ঘ ১৭/১৮ ঘণ্টা ধরে চলে দেন-দরবার। চিকিৎসকের কর্মস্থল ও গ্রামের বাড়ি হতে বিভিন্ন জন আসে আপসরফা করতে। কিন্তু তার আগেই ডা. সুমন ও মেয়ের বক্তব্যসহ জবানবন্দি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। ওই জবাববন্দিতে মেয়েটি তাদের সম্পর্ক ও মেলামেশার কথা প্রকাশ করে। ডাক্তার সুমান মেয়েটিকে বিয়ে করার কথা প্রকাশ করেন।
অবশেষে সোমবার বিকেলে মেয়ের বাড়িতে ২০ লাখ টাকা মোহর ধার্য করে তাদের বিয়ে দেয়া হয়।
ডা. জিল্লুর রহমান সুমনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও শহরের পূর্ব গোয়ালপাড়া এলাকায়। তিনি বিবাহিত। তিনি বিভিন্ন সময়ে সুন্দরি মেয়েদের পটিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার জানান, চিকিৎসক সুমন ওই মেয়েকে বিয়ে করেছেন বলে শুনেছি।
সান নিউজ/আরআই