নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ১৯ মামলার আসামি, এর মধ্যে তিনটিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এসব মামলায় তার থাকার কথা কারাগারে। কিন্তু তিনি গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে বাড়িতে এসে খুন করেন স্ত্রীকে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম মাইনুল ইসলাম ওরফে কাজল ভূইয়া (৪৭)। সোমবার (২৪ মে) তাকে জাফলং সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
দুপুরে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির ডিআইজি (চট্টগ্রাম জোন) হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, কাজল ভূইয়া গত ১৩ মে আখাউড়াতে তার নিজ বাড়িতে স্ত্রী ডলি বেগমকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।
ডিআইজি বলেন, ডলি মারা যাবার পর কাজল ভূইয়া আত্মগোপনে চলে যায়। এই ঘটনায় নিহত ডলির ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সদর দফতর সিআইডি একযোগে তদন্ত শুরু করে। ২৪ মে কাজলকে বাংলাদেশ-ভারত জাফলং সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
হত্যার কারণ সম্পর্কে সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, কাজল ভূইয়ার সঙ্গে তার স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। হত্যাকাণ্ডের ওই দিন রাত ৩টার দিকে সে বাড়িতে আসে। তার সঙ্গে স্ত্রীর ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল থেকে বোতলে করে পেট্রোল এনে স্ত্রীর গায়ে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে তার স্ত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিলে ১৮ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, সামাজিক অবক্ষয় ও পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
কাজল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মাদক মামলাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে। আখাউড়া থানায় তার বিরুদ্ধে তিনটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর ও সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান প্রমুখ।
সান নিউজ/আরএস