নিজস্ব প্রতিনিধি, খুলনা: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ তৈরি হবে, যা পরবর্তীতে গভীর নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যেটি বাংলাদেশ উপকূলে আগামী মঙ্গলবারের পর আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না ঘূর্ণিঝড়টি কোন এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তবে বাংলাদেশের সুন্দরবনের দক্ষিণ পাশ দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। আবার দিক পরিবর্তনও হতে পারে।
আগামী মঙ্গলবারের পর বাংলাদেশ উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ আঘাত হানতে পারে এমন আশংকায় উপকূলীয় জনগোষ্ঠীকে জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচাতে প্রস্তুত করা হয়েছে ১,০৪৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র। প্রতিটি উপজেলায় পাঁচটি ও প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে মোট ১১৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা চিকিৎসা সেবা দেবেন।
রোববার (২৩ মে) জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজিজুল হক জোয়ার্দ্দার বলেন, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় ৫ লাখ লোকের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী খুলনার ৯ উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৪৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেখানে রয়েছে সাইক্লোন সেন্টার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। প্রস্তুত করা হয়েছে ১১৬টি মেডিকেল টিম। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় সিপিপির ৫,৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে।
গত বছর ৮১৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। এবার কোভিড-১৯ এর কারণে সংক্রমণ রোধে আশ্রয়কেন্দ্রের সক্ষমতার অর্ধেক মানুষকে একটি কেন্দ্রে রাখা হবে বলে বেশি সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার, অর্থ, চাল-ডাল প্রস্তুত রয়েছে। সরকারি নিদের্শনা মোতাবেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে উপকূলীয় এলাকা কয়রা, দাকোপ,পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার খবরে সবচেয়ে বেশি আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব এলাকায় আইলা, সিডর, ফণি, বুলবুল, আম্পানে ক্ষত এখনও শুকায়নি। ঘূর্ণিঝড়ে এসব এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিলো।
সান নিউজ/ আরএস