চট্টগ্রাম ব্যূরো : আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ভাড়াটিয়া জাকির। নিজেই গাঁজা কিনে আনেন। আর বউ-শাশুড়ি দিয়ে বিক্রী করান। প্রশাসনিক ঝামেলা এড়াতে এভাবে গাঁজার ব্যবসা করে আসছিলেন জাকির। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। বউ-শাশুড়িসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন জাকির।
২২ মে শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য জানান। ওসি বলেন, নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সাথে ক্রেতা সেজে যোগাযোগ করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আগ্রাবাদ সিডিএ ১ নং রোড বলিরপাড়া আমিনুল হক মেম্বারের বাড়ির সালাউদ্দিনের দ্বিতীয় তলার বাসা থেকে আরও ৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. জাকির হোসেন প্রকাশ গাঁজা জাকির (৩৩), রিতা আকতার (২২) ও বিবি হনুফা (৪৫)। জাকির ও রিতা স¤পর্কে স্বামী-স্ত্রী। হনুফা জাকিরের শ্বাশুড়ি।
পুলিশ জানায়, শ্বাশুড়ি হনুফা বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করেন। কাজ করাটা গৌণ। আসল উদ্দেশ্য ক্রেতা খোঁজা। কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় কাঙ্খিত ক্রেতা পেয়ে গেলে আগের এলাকার কাজ ছেড়ে দেন তিনি। নতুন এলাকায় গিয়ে নতুন বাসায় কাজ ঠিক করে নেন। জামাই জাকির যখনই গ্রেপ্তার হয়, শ্বাশুড়ি তখনই ছুটেন ঢাকায়। জামিন করিয়ে আনেন হাইকোর্ট থেকে। শুধু গত এক বছরেই তিনবার জেলে যান জাকির। তিনবারই হাইকোর্ট থেকে জামিন করিয়ে আনেন শ্বাশুড়ি হনুফা। এভাবেই নিঁখুত চাতুরতার সাথে করে আসছে জামাই-শ্বাশুড়ির গাঁজার ব্যবসা।
সান নিউজ/ আইকে