নিজস্ব প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে সাইফুল আলম বিপুল (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে সাইফুল ইসলাম বিপুল ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছেন বলে দাবি করা হলেও পরিবারের অভিযোগ স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হয়েছেন সাইফুল আলম বিপুল। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সাইফুল নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরের গলাচিপা কলেজ রোডের মো. সামছুল আলমের ছেলে। ইতোপূর্বে সাইফুল তার স্ত্রীর বিরদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন।
গত ১৭ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পাওয়ার হাউজ রোডের একটি ভবনের ছাদ থেকে পড়ে সাইফুলের মৃত্যু হয় বলে জানান তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার শায়লাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন ঈদ করতে।
সাইফুলের স্বজনরা জানিয়েছেন, গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার ব্যবসায়ী হাফেজ মিয়ার মেয়ে হাবিবা আক্তার শায়লাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন সাইফুল ইসলাম বিপুল। বিয়ের পর হাবিবা পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। গত ৮ মার্চ হাবিবা বাড়ির কাউকে কিছু না বলে ৯ ভরি স্বর্ণালংকার ও দেড় লাখ টাকা নিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে চলে যান। এ ঘটনায় ওইদিনই নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সাইফুল। পরবর্তীতে জানতে পারেন হাবিবা তার বাবার বাড়িতে চলে এসেছেন।
সাইফুলের বাবা সামছুল আলম অভিযোগ করে বলেন, হাবিবাকে নিয়ে ঈদ করার জন্য শ্বশুরবাড়ি আসেন সাইফুল। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ১৭ মে নারায়ণগঞ্জ ফিরে যাওয়া কথা ছিল তাদের। কিন্তু নায়ারণগঞ্জ ফিরে না গিয়ে হাবিবা ও তার স্বজনরা সেদিন রাতে বাসার ছাদে নিয়ে গিয়ে কৌশলে সাইফুলকে নিচে ফেলে হত্যা করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন সাইফুলের বাবা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, নিহতের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সান নিউজ/আরআই