চট্টগ্রাম ব্যুরো: স্ত্রী হত্যা মামলায় কারাবন্দি সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার নানা রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার চিকিৎসা প্রয়োজন। তাই কারাগারের বাইরে অন্য যেকোনো হাসপাতালে তার চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে বাবুল আক্তারের আইনজীবী মো. আরিফুর রহমান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই আবেদন করা হয়। আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানি হবে।
আরিফুর রহমান বলেন, বাবুল আক্তার নানা রোগে ভুগছেন। তার ফুসফুসে সমস্যা আছে। অনিয়মিত রক্তচাপে ভুগছেন। এ ছাড়া তার অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। শারীরিক সমস্যার কারণে বাবুল আক্তার গত জানুয়ারি থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীর দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিবাহ বহির্ভূত স¤পর্কের জেরে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যার অভিযোগে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে গত ১২ মে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করা হয়। মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের বাদি হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দিনই বাবুল আক্তারকে আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
কিন্তু রিমান্ডে পিবিআইকে কোন তথ্য দেননি বাবুল আক্তার। এমনকি আদালতেও জবানবন্দি দিতে রাজী না হওয়ায় বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পথে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে। ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে আসছিলেন।
মামলাটি শুরু থেকে সিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেয়। পিবিআই তদন্তে মিতু হত্যায় বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়।
সান নিউজ/ আইকে