নিজস্ব প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ: ৭দিনেও চাঁদাবাজির মামলা আমলে না নিয়ে বরং চাঁদাবাজির মূল আসামির পক্ষে পাল্টা অভিযোগ গ্রহণ করেছেন গজারিয়া থানার ওসি রইছ উদ্দিন। কয়েকদিন আগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে চাঁদা না পেয়ে নির্মাণাধীন দেয়াল হামলা করে ভাংচুর করে। এ বিষয়ে থানায় (১১ মে) একটি লিখিত অভিযোগ দেন নুর নবী।
কিন্তু সেই অভিযোগ আমলে না নিয়ে ১৬ মে চাঁদাবাজ আব্দুস সাত্তারের করা একটি অভিযোগ ওসি গ্রহণ করেন বলে অভিযোগ করেন বাদী নুর নবী। পরবর্তীতে সে এই বিষয়ে শালিস বৈঠকের প্রস্তাব দেয়।
অভিযোগকারী মো. নুর নবী (৫২) জানান, পুরান বাউশিয়ার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী মো. আব্দুস সাত্তার (৫৫) সাঙ্গপাঙ্গসহ আরও ৫-৬ জন ঘটনাস্থলে এসে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভাংচুর করে এবং ভয়ভীতি দেখায়। ইতিপূর্বে এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ গ্রুপটি জমির মালিক কামরুল ইসলাম ও মো. মহসিন মিয়ার কাছ থেকে ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করে ৭০হাজার টাকা চাঁদা নেয়। আমাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে থানার ওসি চাঁদাবাজ সাত্তারের পক্ষ নিয়ে মিমাংসার জন্য শালিস বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছে। চাঁদাবাজদের নিয়ে কিসের শালিস বুঝলাম না।
জমির মালিক কামরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল ৯টার সময় ভূমিতে সন্ত্রাসী আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এসে ভূমিতে থাকা ঘরের পাকা দেয়াল ভাংচুর করে আনুমানিক ১ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন জানান, দুটি অভিযোগই তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওসি আরও বলেন, অভিযোগ দেওয়ার পরে তদন্ত হবে তদন্ত শেষে মামলা হবে।
সান নিউজ/আরএস