নিজস্ব প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের জুড়ীতে রোববার ( ১৬ মে) রাত ৮ টার পরে উপজেলার চৌমুহনীর বাজারে আগুনের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২ থেকে আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
জানা যায়, মৌলভীবাজারের জুড়ীতে রোববার ( ১৬ মে) রাত ৮ টার পরে উপজেলার চৌমুহনীতে করিম মিষ্টির বক্স তৈরির দোকান থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে পাশ্ববর্তী গ্যাস সিলিন্ডারের গোদাম এবং পেট্রোলিয়াম জাতীয় দোকানে। পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। টানা আড়াই ঘণ্টা ৬ টি ইউনিট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা, সিগারেটের অংশ থেকে আগুন করিম মিষ্টির বক্স তৈরির দোকানে লাগে পরে তা মুহূর্তের মধ্যে পাশ্ববর্তী আর এন পেট্রোলিয়াম দোকান ও শরীফ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যায়। প্রথমে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘন্টাখানেক কাজ করার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের আরেকটি টিম আসে। এরপর রাজনগরের ফায়ার সার্ভিসের টিম এসে তাদের সহযোগিতা করে।
আগুনে শরীফ গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, আর এন পেট্রোলের দোকান ও করিম মিষ্টির বক্স তৈরির দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়, পাশ্ববর্তী ৫ তলা নুর জলিল বিল্ডিং এর বেশির ভাগ অংশ ও পুড়ে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথে মসজিদের মাইক থেকে বিল্ডিং এর সবাইকে বের হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এতে করে কোন মানুষের ক্ষতি হয়নি।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান রুহুল ইসলাম, কুলাউড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাদেক কাউছার দস্তগীর, জুড়ী থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, বড়লেখা থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার।
সান নিউজ/আরএস