শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরে কর্মহীনদের জন্য ১০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিনকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ দেয়া হলো সংবর্ধনা। এসময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাকে উপহার স্বরূপ সরকারি জমিতে একটি ঘর, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি দোকান ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার ভরণ-পোষণ এবং চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়া হয়।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
জেলা প্রশাসক বলেন, 'নাজিম উদ্দিন ঘর নির্মাণের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করে দুই বছরে ১৫ হাজার টাকা জমান। সেখান থেকে দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে ১০ হাজার টাকা উপজেলা প্রশাসনের করোনা তহবিলে জমা দেয়ায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হলো।
অনুষ্ঠানে প্রথমে নাজিম উদ্দিনকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন জেলা প্রশাসক এবং ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম এহছানুল মামুন, ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার রুবেল মাহমুদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার আশরাফুল আলম রাসেল, শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. খায়রুল কবির সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি আগে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতাম। পরে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার ফলে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালাই। আমার স্ত্রী আবেদা খাতুনও পঙ্গু। আমার পরিবারে তিন ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের জমানো ১০ হাজার টাকা করোনায় বিপর্যস্ত কর্মহীন ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ত্রাণ তহবিলে জমা দেন উপজেলার গান্ধিগাঁও এলাকার ভিক্ষুক নাজিম উদ্দিন। এ ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়।
পরে বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর এসব উপহার তুলে দেয়া হয়।
সান নিউজ/সালি