চট্টগ্রাম ব্যূরো : নাতি-নাতনিকে কাছে পেতে আদালতে যাচ্ছেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন। রোববার (১৬ মে) দুপুরে সান নিউজকে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তার এখন গ্রেফতার। তাই নাতি-নাতনিদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। প্রয়োজন বিশ্বস্ত অভিভাবক। এ জন্য নিজেদের জিম্মায় চেয়ে আমরা আদালতে আবেদন করব।
মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে রোববার দুপুরে আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। আইনজীবীর নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তীতে আদালতে আবেদন করব। গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত নাতি-নাতনি বাবুল আক্তারের কাছে ছিল।
তিনি আরো বলেন, মিতু আমার বড় সন্তান। তার ছেলে মেয়ে আমার প্রথম নাতি-নাতনি। মেয়ে মারা যাওয়ার পর তাদেরকে আমাদের কাছে রাখতে চেয়েছি, কিছুদিন রেখে ছিলাম। কিন্তু বাবুল আক্তার তাদেরকে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যায়। এখন তারা কী অবস্থায় আছে আমার জানা নেই।
পরকীয়া সম্পর্কের জেরে মিতুকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে গত ১২ মে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাবুল আক্তারকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান। আজ রিমান্ডের চতুর্থ দিন চলছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বের হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মিতুকে। ঘটনার পর তৎকালীন এসপি বাবুল আকতার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
তবে বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ এই হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে আসছিলেন। শুরু থেকে চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) মামলাটির তদন্ত করে। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়। তদন্তে মিতু হত্যায় স্বামী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই।
গান নিউজ/আইকে/বিএস