নিজস্ব প্রতিনিধি, নরসিংদী: নরসিংদী জেলার মেঘনা নদীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে শেখ হাসিনা সেতু। প্রতি বছর ঈদ কিংবা বিভিন্ন উৎসবে লাখো মানুষের উপস্থিতি জানান দেয় এ জেলায় বিনোদন কেন্দ্রের কতটা অভাব।
শুক্রবার (১৪মে) ঘরবন্দি মানুষ চলমান লকডাউন উপেক্ষা করে প্রিয় মানুষদের নিয়ে একটু বিনোদনের আশায় এখানে এসেছেন।
নরসিংদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে এখানে আসতে অন্তত: আধা মাইল হেটে আসতে হচ্ছে সবাইকে। বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে আইনসৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রিক্সা, অটো রিক্সা এবং প্রাইভেটকার থামিয়ে নামিয়ে দিচ্ছেন জনসাধারনকে। দল বেধে মানুষ পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন ব্রিজের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
যানবাহন থেকে নেমে ব্রিজে পৌঁছাতে অনেকটা সময় লাগলেও ব্রিজে দাঁড়াবার ঠাঁই পর্যন্ত নেই। মানুষের ভিড় আর গ্রীষ্মের বিকেলের তাপ স্থানটিকে অনেকটা বিরক্তিকত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যে সকল মানুষ এখানে এসেছে তাদের অনেকের মুখেই মাস্ক দেখা যায় নি। মানছেন না কেউ সামাজিক দূরত্ব।
প্রশাসন থেকে কেবল যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়া হলেও সামাজিক দুরত্ব কিংবা মাস্ক পরিধানের বিষয়ে নেয়া হচ্ছে না কোন পদক্ষেপ। দায়িত্বরত পুলিশ বলছে তারা মানুষকে মাস্ক পড়ার কথা বললেও কেউ শুনছেন না তাদের কথা। বলামাত্র মাস্ক পড়লেও কিছুদুর গিয়ে মাস্ক খুলে ফেলছে অনেকেই। সারেজমিনে এর সত্যতাও পাওয়া গিয়েছে। মাস্ক নেই কেন জিজ্ঞেস করলে অনেকেই দিচ্ছেন বিভিন্ন অজুহাত।
একদিকে করোনায় লকডাউন অন্যদিকে ঈদের আনন্দ উদযাপনের তাড়না। এ দুয়ে মিলে যেন এক অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মানুষ সত্যিই বুঝতে পারছে না কি করবে তারা। আর কতদিন ঘড়ে বন্দী থাকবে?
ঘুরতে আসা মো. রফিক নামের এক দর্শনার্থী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের অনুরোধে এখানে এসেছি।’
রফিকের মত আরো অনেকেরই একই কথা বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এদিকে করোনায় বাচ্চারাও ঘরবন্দি থাকতে গিয়ে হাপিয়ে উঠেছেন। সরকার করোনা শুরুর পর থেকে এসব বাচ্চাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করলেও শিশুরা এখন ঘোরাফেরা করছে বিনোদন কেন্দ্রে বা মার্কেটগুলোয়।
তাদের ঘোরাফেরা দেখে অনেককে আবার মার্কেট বা ব্রিজে মানুষের ভিড়ে করোনা প্রবেশ করতে পারেনি বলে টিপ্পনীও কাটতে দেখা গেছে।
সাননিউজ/এএসএম