চট্টগ্রাম ব্যূরো :
আইভাস জালিয়াতির মাধ্যমে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হিসাব বিভাগের কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা করেছে দুদক। এতে হিসাব বিভাগের জুনিয়র অডিটর ফয়সাল মাহবুবকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১২ মে) দুদকের পাবলিক প্রসিকিউশন অ্যাডভোকেট কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু মামলা দায়েরের তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রেলওয়েতে অর্থ আত্নসাতের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি জানান, দুদকের উপসহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে বুধবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অনলাইন জালিয়াতির মাধ্যমে জুনিয়র অডিটর ফয়সাল মাহবুবের বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, নিজ নামের ৪টি ব্যাংক একাউন্টে দুই কোটি টাকা আত্নসাৎ করে ফয়সাল। যা ছিল মূলত পূর্বাঞ্চলের অধীনে কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বেতন ও বিভিন্ন বোনাস-ভাতার টাকা। আইভাস সিস্টেমে ভুয়া বিল দাখিল ও পাশ দেখিয়ে এই প্রতারণা করা হয়।
এর আগে শনিবার (৮ মে) রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফয়সাল মাহবুবকে আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। তারপর থেকে রবিবার বিকেল পর্যন্ত আরএনবির হাজতে আটক ছিল ফয়সাল। পরে রাতে তাকে খুলশী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
খুলশী থানার ওসি মো. শাহিনুজ্জামান জানান, মামলায় ৫০ লাখ টাকা আাত্নসাতের কথা স্বীকার করেছেন আসামি ফয়সাল মাহবুব। তবে বিষয়টি দুদকের শিডিউলভুক্ত হওয়ায় তা তদন্ত করবে দুদক।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হিসাব বিভাগের প্রধান অডিটর কামরুন্নাহার জানান, আইভাস সিস্টেম হলো রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ডিজিটালে দেওয়ার পদ্ধতি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আইভাস সিস্টেম চালু করা হয়। এ পদ্ধতির বিষয়ে ফয়সালসহ বেশ কয়েকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তাদের এ পদ্ধতিতে বেতন দেওয়া হচ্ছিল সেই সেপ্টেম্বর থেকে। পর্যায়ক্রমে কর্মচারীদের যুক্ত করার কথা ছিল এ সিস্টেমের আওতায়। কিন্তু জুনিয়র অডিটর ফয়সাল মাহবুব হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সেই টাকা আত্নসাৎ করতে থাকেন।
গত শনিবার (৮ মে) তথ্যটির প্রমাণ পাওয়ায় তাকে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ৫০ লাখ টাকা আত্নসাতের কথা স্বীকার করে। কিন্তু তথ্য যাচাইয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে টাকার প্রকৃত পরিমাণ নিরুপণে কাজ চলছে।
সান নিউজ/আইকে