নিজস্ব প্রতিনিধি, নাটোর: নাটোরের গুরুদাসপুরে ৬ বছরের শিশু মহিবুল্লাহ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকারীও একজন ১২ বছরের শিশু। তার নাম নয়ন। সে একই গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শনিবার (৮ মে) দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান এসপি লিটন কুমার সাহা। এসপি বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুট্টাক্ষেত থেকে শিশু মহিবুল্লাহর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মহিবুল্লাহ পার্শ্ববর্তী সিংড়া উপজেলার গোটিয়া মহিষমারী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ইসাহক আলীর ছেলে।’
তিনি বলেন, ‘গুরুদাসপুরের সাবগাড়ী গ্রামে ১৫ দিন আগে মায়ের সঙ্গে নানা দিরাজ মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসে মহিবুল্লাহ। ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।’
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন জানায়, সে মাথা ন্যাড়া করায় তাকে মহিবুল্লাহ বিভিন্নভাবে ঠাট্টা বিদ্রুপ করতো। মানা করলে আরও বেশি বিদ্রুপ করতো। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নয়ন ঘটনার দিন সন্ধ্যায় শিশু মহিবুল্লাহকে কাপড় দিয়ে মুখবেধে পাশের ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধারালো চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। লাশ বস্তায় করে আরেকটু দূরে ফেলে রেখে আসে নয়ন।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. নয়নকে রক্তমাখা ছুরি ও একটি মোবাইল ফোনসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মহিবুল্লাহর পিতা ইসাহক আলী বাদী হয়ে থানায় নয়নের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নয়নকে গ্রেপ্তার করে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সান নিউজ/কেটি